ডেস্ক রিপোর্ট ● ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের সেই আলোচিত লন্ডন প্রবাসী এসি ও অ্যাটাচড বাথরুম চাওয়ার পর এবার প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে গিয়ে চাইনিজ খাবার খেতে চাইলেন। সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি তিন বেলা চাইনিজ খাবার দেয়ার দা’বি তুলেন।
এদিকে, দা’বি অনুযায়ী প্রবাসী মো. মাসুম চৌধুরী বিজয়নগর উপজে’লার প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টিনে (নবনির্মিত হাসপাতাল) অ্যাটাচড বাথরুমের একটি রুম পেয়েছেন। রুমটিতে ওনাকে একাই রাখা হয়েছে। তবে সেটিতে এসি নেই।
বিজয়নগর উপজে’লা নির্বাহী কর্মক’র্তা (ইউএনও) মেহের নিগার বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে জানান, ওই ব্যক্তির সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়। ওনাকে বলা হয়েছে সাধ্যমত সব ধরনের ব্যবস্থা করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওনার চাহিদা অনুযায়ী ইচ্ছে করলেই চাইনিজ খাবার দেওয়া সম্ভব না। ইচ্ছে করলেই এসি লাগিয়ে দেওয়া সম্ভব না। তবে কোয়ারেন্টিন সেন্টারটি অব্যবহৃত হাসপাতাল হওয়ার পরিবেশ খুবই ভালো।
এখানে থাকা খুব একটা অ’সুবিধার কিছু না। ওনাকে বলেছি শা’ন্ত থাকতে।’ গত ১১ মে প্রবাসী মো. মাসুম চৌধুরী দেশে আসেন। এরপর থেকে তিন ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের নিয়ম মানছিলেন না।
নাসিরনগর সদরের বাড়িতে গিয়ে উপজে’লা কৃষি অফিসার ওই ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টিন মানার অ’নুরোধ করেন। এতে ক্ষি’প্ত হয়ে ওই ব্যক্তি কৃষি অফিসারের সঙ্গে খা’রাপ আ’চরণ করেন। পরবর্তীতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গেলে তার সঙ্গেও খা’রাপ আ’চরণ করেন।
অবশেষ বৃহস্পতিবার সকালে ছুটে যান নাসিরনগর উপজে’লা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিনা আক্তার। ওই প্রবাসী তাকেও পা’ত্তা দিচ্ছিলেন না।
খবর পেয়ে ছুটে যান নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজমা আশরাফী। সেনাবাহি’নীর টহল টিম, পু’লিশসহ সংশ্লিষ্টদেরকে নিয়ে গিয়ে আবারো হোম কোয়ারেন্টিন মানতে বলা হয়।
এ সময় তিনি নানা ধরনের কথা বলতে থাকেন। যারা অ’ভিযানে গেছেন তারা ছোট চাকরি করেন, ছোট মনমানসিকতার লোক ইত্যাদি বলতে থাকেন। এক পর্যায়ে পু’লিশ ফোর্স ও সংশ্লিষ্টদেরকে পিপিই পড়িয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রে’প্তারের নি’র্দেশ দেন ইউএনও।
এ অবস্থায় প্রবাসী কিছুটা নমনীয় হয়ে আসেন। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার কথা বললে তিনি এসি ও অ্যাটাচড বাথরুমের ব্যবস্থা করে দিতে বলেন এক পু’লিশ কর্মক’র্তাকে।
পরে তাকে পু’লিশ দিয়ে জে’লার বিজয়নগর উপজে’লার প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। সেখানে গিয়েও তিনি বেশ উচ্চবাচ্য করেন। সাধ্যমতো সব কিছু করার আ’শ্বাস দিয়ে শা’ন্ত থাকার অ’নুরোধ করা হয় তাকে।