নিজিস্ব প্রতিনিধিঃ
ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হাসিবুল হক গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টর পাবলিম কলেজের সামনে কিছু বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলেন।
হটাৎ দেখলেন ৬০/৭০ জনের একটা বিশাল দল সামনে দিয়ে হেটে একটু সামনে গিয়ে কার সাথে যেন খুব উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে দেখা করছে। উদ্ভট চুলের কাটিং আর রং করা চুল, আর জবড়জঙ কাপড় চোপড় দেখে বোঝা যায় যে হয় এরা টিকটক করে আর নাহলে লাইকি করে। এরা প্রায় সময়ই গাড়ি বাইকের সামনে এসেও ভিডিও শ্যুট করে।
একটু পর তার বন্ধু রবিন গাড়ি নিয়ে আসে। গাড়ি নিয়ে সব বন্ধুরা ঘুরতে বের হয়। মোড় ঘুরে একটু দূরেই ঐ টিকটক/ লাইকি বাহিনী পুরো রাস্তা দখল করে আড্ডা দিচ্ছিলো।
গাড়ির হর্ন দিতেই তারা খুব বিরক্ত হয়। তখন গাড়ির দরজা খুলে হাসিবুল হক এর বন্ধু প্রশ্ন করে, সমস্যা টা কি?কেন এভাবে তারা রাস্তা আটকিয়ে রেখেছে?
এই প্রশ্নের জবাবে কোন কথা বার্তা ছাড়া সবাই হঠাৎ আক্রমণ করে রবিনকে । তারা মেরে রবিনের মাথা ফাটিয়ে ফেলে।রবিনকে বাচাতে গেলে শাকির নামক আরেকজনেরও মাথা ফাটিয়ে দেয়। হেলমেট, কাঠ, হাত যে যেটা দিয়ে পেরেছে মেরেছে।
এভাবে ৬০/৭০ জন মিলে হাসিবুল ও তার ৬ জন বন্ধুকে বেপরোয়া ভাবে মারধোর করে।
তাদের ভাষ্যমতে তারা বন্ধুরা যে কজন ছিলেন, তাদের প্রত্যেকের বয়স ৩০+। কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ বা ব্যাবসায়ী।মারামারির বয়স, মন মানসিকতা, অবস্থা, অবস্থান কোন কিছুই তাদের ছিল না।
তারা বলেন,আমরা ওদের শুধু বললাম, কেন মারতেছেন ভাই? সাথে সাথে একজন উড়ে এসে হেলমেট দিয়ে ঘাড় পিঠের উপর আঘাত করে বললো, ” কুত্তার বাচ্চারা, পুরা বাংলাদেশ চালাই আমরা, ৫ মিনিটে ৫০০ মানুষ খাড়া করায় দিমু, কইছ তোগো বাপেরে, এই বাপ মাইরা থুয়া গেছে…. “
এদের একেক জন ও স্বাভাবিক ও সুস্থ মানসিকতায় ছিল না। তারা পরে থানায় ঘটনাটি জানায়।২ টা থানার বেশ কয়েকটা টীম খুজতে থাকে ওদের।গত রাতেই আটক করা ১ জনকে। আর আজকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে আটক করা হয় আলোচিত অপু ভাই কে।