কোভিট-১৯ ভয়াবহ করোনা ভাইরাস মোকাবেলা যুদ্ধের ময়দানে মাঠে কাজ করছেন অস্র বিহীন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী।
করোনা মহামারীর মধ্যে দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে স্বাভাবিক থাকলেও স্বস্তিতে নেই আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। বরং বিরামহীনভাবে তাদের সেবামূলক কাজকর্ম চলছে চলবে। দেশের এমন সংকটময় মুহূর্তে গতানুগতিক আইন শৃংখলা রক্ষার পরিবর্তে তারা সামাজিক দূরত্ব ও কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতসহ মানবিক সেবায় নিজেদেরকে নানান কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রেখেছেন পুলিশ সদ্যসরা।
আপনি ঘরে থাকুন, সচেতন থাকুন, নিজে বাঁচুন, পরিবার বাঁচান, দেশ বাঁচান। মাইক হাতে নিয়ে শহর থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলে গিয়ে এভাবেই মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী৷
আজ আমরা নিজেদের জীবন কিংবা পরিবারের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে যখন গৃহবন্ধী (হোম কোয়ারান্টাইনে) তখন সকল পুলিশ সদস্যরা রাত-দিন রাস্তায়-রাস্তায় গিয়ে আইনশৃংখলা রক্ষার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সাথে মিশে জীবনকে উৎসর্গ করে সহায়তার পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।দেশের এই পরিস্থিতিতে যারা জীবনের এতো বড় ঝুঁকি নিয়ে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন সারা বাংলাদেশ জুড়ে, আজ তারাই সব চেয়ে অবহেলিত অবস্থায় আছেন। বাংলাদেশের যে কোন দুর্যোগের সময় আমাদের দেশের পুলিশ বাহিনী সব সময় সবার আগে এগিয়ে এসে হাল ধরেন এবং দেশ বিদেশে থেকে প্রসংশা কুড়িয়ে আনে৷ পুলিশ বাহিনী শুধু বাংলাদেশে নয় বহির্বিশ্বেও জীবনকে বাজি রেখে কাজ করে চলেন ও বাংলাদেশের জন্য বয়ে নিয়ে আসেন সুনাম।
বর্তমান পরিস্থিতিতে সবচেয়ে যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন দেশের মানুষের জন্য, তখন তাদের হয়ে বলার কেউ নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোন পাড়া, মহল্লায় বা বাসা বাড়ি, থেকে খবর আসে, যে এই বাসা বাড়ি বা পাড়া মহল্লায় করোনা ভাইরাসের লক্ষ্যণ এমন রুগী আছে, তখন আর কেউ এগিয়ে আসে না, তখন এই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাই এগিয়ে গিয়ে মৃত্যুর ভয় না করে তাদের কাছে ছুটে চলে যায় রুগীকে বাসা থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত নিয়ে যান বাঁচানোর জন্য, এমন কি কোন রুগী মারা গেলে বর্তমানে কেউ কাছে আসেনা, তখন এই পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাই জীবনকে বাজি রেখে মৃত ব্যক্তির দাফন কাফনসহ জানাজা করে কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত করে থাকেন।
তাছাড়াও ব্যক্তিগত উদ্যেগে বিভিন্ন জায়গায় জীবানুনাশক ছিটানো, ঘরে অবস্থানরত বাসিন্দাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দেওয়া, হতদরিদ্রদের কাছে বিনামূল্যে খাবার পৌছে দেওয়া, অসুস্থ ব্যক্তিদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়াসহ নানান মানবিক কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী।
এখনোও আমরা কেউ জানিনা এই মহামারী পরিস্থিতি থেকে আমরা কবে রক্ষা পাবো,তার-পরেও বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের পাশে
অতন্দ্র প্রহরী হয়ে তারা দিন-রাত অবিরাম কাজ করে চলছেন।
ধন্যবাদ,
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে।
করোনা মোকাবেলা পরিস্থিতিতে সকলের সুস্থতা কামনা করছি।
দেশ, মাটি ও দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা অব্যাহত থাকুক।
আরমান হোসেন হাসান
নায়েরগাঁও দিগন্ত