নিজস্ব প্রতিনিধি-
মতলব দক্ষিণ উপজেলার নাউজান গ্রামের ইয়াসিন প্রধানীয়া বাড়ির প্রায় ৫০পরিবারের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। বিকল্প কোনো পথ না থাকায় এই সাঁকো দিয়েই যাতায়াত করতে হয় এই বাড়ির ৫০০ শতাধিক মানুষ ও গ্রামবাসীদের। কিন্তু স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতার কারণে ব্রিজের কাজ আসার পর কেন করা হলো না তা নিয়ে এলাকাবাসীর মনে নানান প্রশ্ন।
ইয়াসিন প্রধানীয়া বাড়ির ও স্থানীয়দের উদ্যোগে নির্মিত সাঁকোটি প্রতিবছর মেরামত করেন নিজেরাই। তবে এর একটি স্থায়ী সমাধান চান এলাকার বাসিন্দারা।
মতলব দক্ষিণ উপজেলাধীন ১নং নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নের নাউজান গ্রামের মধ্যখানে অবস্থিত পাটন-পেয়ারীখোলা খাল। খালটির ওপর স্থায়ী কোনো ব্রিজ না থাকায় নিজেদের নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন ইয়াসিন প্রধানীয়া বাড়ির ৫০টি পরিবার ।
গ্রামবাসীরা জানান, এক-দুই দিনের নয়, বছরের পর বছর এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ইয়াসিন প্রধানীয়া বাড়ির ৫০ টি পরিবার ও গ্রামের মানুষকে। ঝুঁকিপূর্ণ এ সাঁকো পার হতে গিয়ে অনেকবার দুর্ঘটনায় পড়তে হয়েছে। বর্ষায় এ দুর্ভোগ পৌঁছায় আরও চরমে। সাঁকো মেরামতে সরকারি কোনো অনুদানও পাওয়া যায় না।তারা আরো বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব ব্রিজের কাজ করার জন্য লোক এনেছিল কিন্তু এই গ্রামের ছেলে ১নং নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজামান মোল্লা ও চেয়ারম্যানের মধ্যে বিরোধ থাকায় এই ব্রিজটির কাজ হয়নি।
নায়েরগাঁও উত্তর ইউনিয়নের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করতে গেলে কামরুজ্জামান মোল্লা তার দলীয় প্রভাব দেখিয়ে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সেলিমে কাজে বাঁধা প্রদান করে থাকে।
জনপ্রতিনিধিরা দাবি পূরণের আশ্বাস দিলেও পরে আর তা বাস্তবায়ন হয় না বলে অভিযোগ তাদের। তাই অবিলম্বে একটি স্থায়ী ব্রীজ নির্মাণে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
৮ নং ওয়ার্ড নাউজান গ্রামের ইউ’পি সদস্য জজ মিয়া বলেন, আমি শুনেছি ইয়াসিন প্রধানীয়া বাড়ির ব্রিজটির কাজ হবে, কিন্তু কেন হয়নি তা আমার জানা নেই।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সেলিম বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছি। এরপরও ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করেছি। ব্রিজটির নির্মাণকাজ শুরু করার কথা ছিলো।