বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মরণঘাতী করোনাভাইরাস নিয়ে সবাই মহা আতঙ্কে। পুরো বিশ্ব মিডিয়ায় শিরোনামের ভাষা: করোনাভাইরাস, সংক্রমণ, মৃত্যু, কোয়ারেন্টাইন, হোম কোয়ারেন্টাইন আর লকডাউন। কারণ এ ভাইরাসের কোনো ওষুধ নেই, নেইকোনো প্রতিষেধক। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ফলে সারা বিশ্ব সহ, এশিয়ার কয়েকটি দেশে যে রোগ ছড়িয়ে পড়েছে – তাতে এপর্যন্ত ৫০০০০০ জনের মৃত্যু হয়েছে, সংক্রমিত হয়েছে প্রায় সাড়ে ৪শ কোটি লোক।
চাঁদপুরের মতলবে এখন অনেক করোনা রুগী। পতিদিন ধরা পরছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তার ভিতরে গতকাল মতলব দখিনে রহিম মিয়া নামে এক চাচা করোনা পজেটিভ হন। তাকে আনতে আইসিডিডিআরবির লোক গেলে দেখেন তিনি বাসায় নাই পাশের বাজারে দোকানে চা খেতে গেসেন। এম্বুলেন্স নিয়ে গিয়ে রোগীর বাড়ির সামনে রোগীর জন্যে অনেকক্ষন অপেক্ষা করেন তারা। পরে রোগীকে নিয়ে আসেন তবে এখন সুস্হ কি না এটা জানা যায় নি।
কয়দিন ধরে জনমুখে প্রচার হচ্ছে চা হতে পারে প্রতিষেধক এমন সংবাদে মানুষ ছুটছেন চা খেতে। জীবনের মায়া তুচ্ছ করে চাখেতে তুয়াক্কা করছেন না কেউ কেউ। ভারতে ছড়িয়ে পড়া এরকম একটি খবর হচ্ছে, বেশি বেশি চা খেলে করোনাভাইরাস ঠেকানোযায়।
এই গুজবের উৎপত্তি চীনে। ভুয়া পোস্টের স্লোগান ছিল: এক কাপ চা যে করোনাভাইরাসের সমাধান এটা কে জানতো।
এই ভুয়া দাবিটি সোশাল মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। তাতে জড়ানো হয়েছে চীনা ডাক্তার লী ওয়েনিলিয়াং–এরনামও। উহান শহরে এই ভাইরাসের ব্যাপারে তিনিই প্রথম সবাইকে সতর্ক করেছিলেন এবং পরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েমারা গেছেন। ওই পোস্টে দাবি করা হয় যে ডাক্তার লী চায়ের মধ্যে এমন একটি উপাদান মেথিলজেনথিন্স পেয়েছেন যা ভাইরাসেরপ্রভাব কমাতে পারে।
ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া ওই পোস্টে দাবি করা হয় যে চীনে কোভিড–১৯ রোগীদের দিনে তিন বেলা চা খেতে দেওয়া হতো। এটাসত্য যে চা, কফি ও চকোলেটের মধ্যে মেথিলজেনথিন্স আছে