সফিকুল ইসলাম রিংকু:- মতলব দক্ষিণ উপজেলায় নারায়নপুর বাজারে টাওয়ার হাসপাতালে ঢাকা থেকে ওটিবয় এনে সার্জন পরিচয় দিয়ে ওটিবয় দিয়ে অপারেশন করানো হয়।
গত ২৬মে একটা হাত ভাঙা অর্থোপেডিক্স এর রোগীকে ফুসলিয়ে মিথ্যা বুঝিয়ে,দালালকে ম্যানেজ করে নারায়নপুর টাওয়ার হাসপাতালে ভর্তি দেয়। রোগীকে বলে ঢাকা থেকে বড় সার্জন এনে অপারেশন করাবে কিন্তু ঢাকা থেকে মহিউদ্দিন মামুন নামের ওটিবয় কে দিয়ে অপারেশন করাতে নারায়নপুর টাওয়ার হাসপাতালে আনা হয় মহিউদ্দিন মামুন কে। তখন ডাঃ মহিবুর রহমান (সাদাত) মতলবে না থাকার কারণে মতলব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ কল্লোল রায় কে কল দেয় রোগীকে অ্যানেস্হিসিয়া (অজ্ঞান) করানোর জন্য।
ডাঃ কল্লোল রায় যখন জানতে পারে, অপারেশন করবে একজন ওটিবয়, তখন তিনি রোগীকে অজ্ঞান করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। খবর শুনে, স্হানীয় পত্রিকার সাংবাদিক ও লোকজন জড়ো হলে, সেই ওটিবয় অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়ে ঢাকা চলে যায়।
ডাঃকল্লোল রায়ের এর কাছে বাংলাদেশ নিউজ টাইম এর প্রতিনিধি এই ব্যাপারে জানতে চাইলে তখন ডাঃকল্লোল রায় বলেন আমি যখন জানতে পারি একজন ওটিবয় অপারেশন করবে আমি তখন রোগীকে অজ্ঞান করতে অপারগতা প্রকাশ করি আমি একজন ডাক্তার হিসেবে এই অন্যায় কাজ করতে পারি না একজন সচেতন মানুষ হিসেবে এই কাজ করতে পারি না। ঐ অপারেশন হয়নি বলে জানা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, অনেকদিন থেকেই ডাঃ মহিবুর রহমান সাদাত, রোগীদেরকে মিথ্যা বলে ঢাকা থেকে বড় সার্জন এনে অপারেশন করাবে বলে রোগী আর দালালকে ম্যানেজ করে টাওয়ার হাসপাতালে ভর্তি দেয়। পরবর্তীতে তিনি অতি গোপনে ঢাকা থেকে একজন ওটিবয় কে এনে, তাকে দিয়ে অপারেশন করায়।
এভাবে, সহজ সরল অশিক্ষিত রোগীদের কে মিথ্যা ভুল বুঝিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সর্ব রোগের চিকিৎসক ডাঃ মহিবুর রহমান সাদাত ও নারায়নপুর টাওয়ার হাসপাতালের মালিক পক্ষ। এতে করে সাধারন দরিদ্র রোগীদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে দেয় এবং তাদের সর্বশান্ত করে দেয়। আরো জানা যায় নারায়ণপুর টাওয়ার হাসপাতালের মালিক পক্ষ ডাঃ মহিবুর রহমান সাদাত।
কিছুদিন পরপরই রোগী মারা যায় উক্ত হাসপাতালে, আর ডাঃ মহিবুর রহমান সাদাত স্হানীয় প্রভাবশালীদের টাকা পয়সা দিয়ে ম্যানেজ করে, ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে থাকেন বলে জানা যায়।