নিজস্ব প্রতিনিধি:
বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ঢালাই কাজের অনিয়মে লিখিত অভিযোগের তদন্তের কথা জানে না অভিযোগকারী। বিষয়টি জানতে পেরে তদন্তে আসা সহকারী প্রকৌশলীর মুঠোফোনে বারবার কল দিয়েও মিলছে কোনো সাড়া।
জানা যায়, মতলব দক্ষিণ উপজেলার কাচিয়ারা বালিকা বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার ছাদ ঢালাই কাজে অনিয়ম হচ্ছে বলে উপজেলা চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মুবিন সুজনের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। ওই সময় তিনি নির্বাহী প্রকৌশলীকে এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার বল্লে তিনি বেশ কয়েকবার তদন্তের আশ্বাস দিয়েও বিলম্ব করতে থাকেন। বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজের অভিয়মের বিষয়ে কোন তদন্ত না আসার কারণে স্থানীয় জনগণের পক্ষে এলাকার মুকবুল হোসেন শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর গত ৮ আগস্ট লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৪ আগষ্ট বেলা ১১টার দিকে শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ ও উপ সহকারী প্রকৌশলী আতাহার ইকবাল বিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজের বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেন এবং অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই বলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিখিত কাগজ দিয়ে যান।
অভিযোগকারী মুকবুল হোসেন বলেন, প্রকৌশলী মামুনুর রশিদ ও উপ সহকারী প্রকৌশলী আমাকে না জানিয়ে একরতা তদন্ত করে গেছেন। আমি জানলে অনিয়মের বিভিন্ন প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারতাম। বিষয়টি জেনে আমি ওনার মোবাইলে বেশ কয়েকবার ফোন করলেও তিনি আমার ফোন রিসিভ করেনি। আমি এখনো বলি আমার কাছে নির্মানাধীন ভবনের ছাদ ঢালাই কাজের অনিয়মের প্রমান রয়েছে। আমি প্রমান করার জন্য উর্দ্ধতন অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
বিষয়ে জানার জন্য ওই নাম্বারে যোগাযোগ করলে, উপসহকারী পরিচয়দানকারী আতাহার ইকবাল বলেন, আমি একা যাইনি আমার স্যারসহ গিয়েছিল, সেখানে এলাকার অনেকেই উপস্থিত ছিল। আমরা তদন্তের কাজ শেষ করি নাই আবারো তদন্ত করা হবে।
এদিকে এসও পরিচয়দানকারী আতাহার ইকবাল সংবাদকর্মীর বিষয়টি বিদ্যালয় নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার রাসেল পাটোয়ারীকে অবহিত করেন। পরে ঠিকাদার রাসেল পাটোয়ারী সাংবাদিক কে এই সংক্রান্ত কোনো সংবাদ প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে বলেন,এবং আর্থিক লেনদেন এর প্রস্তাব দেন। গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) দৈনিক সুদীপ্ত চাঁদপুর এর সংখ্যা মতলব থেকে গায়েব! নেপথ্যের কারণ হলো এই অনিয়মের খবর প্রত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে তাই। প্রত্রিকার এজেন্টের কাছ থেকে খবর পাওয়া যায় দৈনিক সুদীপ্ত চাঁদপুর এর সকল সংখ্যা অভিযুক্ত ঠিকাদার রাসেল পাটোয়ারী সকালে সবকটি প্রত্রিকা কিনে নিয়ে যায়।