পরিশ্রমী, সাহসী ও দানবীর পাপ্পু করোনায় আক্রান্ত
মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজিকান্দি, মোহনপুর ও জহিরাবাদ ইউনিয়নের অসহায় মানুষের বন্ধু হিসেবে পরিচিত। তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে চরাঞ্চলে ও নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য পৌঁছে দিয়েছেন।
এই তিন’টি ইউনিয়নে নিজ অর্থায়নে মহামারী করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় দিনমজুর ও নিম্নমধ্যবিত্ত (৩ বারে) প্রায় দুই হাজার পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী এবং ঈদ উপহার হিসেবে শাড়ি-লুঙ্গি বিতরণ করেছেন তিনি আজ করোনায় আক্রান্ত।
জহিরাবাদ ইউনিয়নের মনির হোসেন ও ফাতেমা বেগম বলেন, আমাদের কোন বিপদ-আপদ বা কোনো আর্থিক সাহায্যের জন্য যখনই গিয়েছি খালি হাতে ফিরে আসেনি।
ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, গোলাম রাব্বানী পাপ্পু একজন ভালো মনের মানুষ । সব সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান এবং মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টাও করেন । আল্লাহ তুমি ওকে সুস্থ করে দাও।
কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা আব্দুল হাকিম তানভির বলেন, গোলাম রাব্বানী পাপ্পু ভাই বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান ফজলে শামস পরশ ও সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল এর নির্দেশনা মানতেন। কেন্দ্রীয় যুবলীগের পক্ষ থেকে মহামারী করোণায় ক্ষতিগ্রস্ত অসহায়, হতদরিদ্র, দিনমজুর ও নিম্নমধ্যবিত্ত এব মধ্যবিত্ত ৩ হাজার পরিবারের খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ কাজে নিয়োজিত ছিলেন ।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন খান সুফল বলেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খান পরিবারের পক্ষ থেকে সাহায্য সহযোগিতা করা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের। মোহনপুর, জহিরাবাদ ও ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের ২৫ শত পরিবারের মাঝে খান পরিবারের পক্ষ থেকে এসব খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেন গোলাম রব্বানীর পাপ্পু। সে আমার চাচতো বোনের স্বামী। মহান আল্লাহপাকের কাছে করোনায় আক্রান্ত পাপ্পুর সুস্থতা কামনা করছি। কেন্দ্রীয় যুবলীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক জননেতা আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, এই মহামারী করোনায় গোলাম রাব্বানী পাপ্পু অনেক পরিশ্রম করেছে । তার কাজের স্বচ্ছতা রয়েছে সে ভালো ছেলে। সে আমাদের খান পরিবারের জামাতা, আমার চাচতো বোনের স্বামী। সে এই কাজ করতে গিয়ে কারোনা আক্রান্ত হয়েছে। আমি মহান আল্লাহ পাকের কাছে দোয়া কামনা করছি সুস্থতার জন্য । প্রিয় দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই ।