ক্রাইম রিপোর্ট (জয়নাল আবেদীন)
সরকার যখন মাদকের বিরুদ্ধে সারাদেশে মাদক বিরোধী অভিযান অব্যহত রেখেছে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। ঠিক সেই সময়ে মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর বাজারের আশেপাশের চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসায়।
মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়ণপুর বাজারের আশেপাশে ডাটিকারা রোড, নারায়ণপুর পূর্ব বাজার ব্রিজের উত্তর পাড় দক্ষিন আধারা, সারপাড় ও পূর্ব বাড়ৈগাঁও সংলগ্ন এলাকায় কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন(সারপাড়), ঝিডু প্রধান(সারপাড়),মোঃরফিকুল ইসলাম(বাড়ৈগাঁও,আনোয়ার ভূইয়ার বাড়ি ), শাহাদাত হোসেন(মাছুয়াখাল) , মোঃ জাকির হোসেন(চাউলহাটা) ও তার পিতা রহুল আমিনসহ ধরা -ছোয়ার বাইরে থেকে রমরমা মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে বলে এলাকায় অভিযোগ উঠেছে। কুখ্যাত এ মাদক ব্যবসায়ীদের কে প্রশাসন গ্রেপ্তার না করায় হতাশ হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই শাহাদাত হোসেন, আনোয়ার হোসেন, ঝিডু প্রধান, সাইফুল ইসলাম, জাকির হোসেন, রফিকুল ইসলাম এ ব্যবসা পরিচালনা করেছেন। হাত বাড়ালেই মাদকের দেখা পাওয়ায় নারায়ণপুর বাজারের আশেপাশের আধারা, পাঁচঘড়িয়া, ডাটিকারা, সারপাড় ও বাড়ৈগাঁওসহ এলাকার উঠতি বয়সের তরুনরা নেশার দিকে ঝুকে পড়ছে।
উপজেলার প্রায় সর্বত্রই শাহাদাত হোসেন ও আনোয়ার হোসেন এ মাদক ব্যবসা সয়লাভ হলেও এগুলো যেন দেখার কেউ নেই। যারা বন্ধ বা প্রতিরোধ করবে তারাই কালো টাকায় বিক্রি হয়ে নিরব ভূমিকা পালন করছে। মাদক সেবনকারীদের উৎপাতে নারায়ণপুর বাজারের বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়ত বাড়ছে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, মারামারিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড। দিন দিন মাদক ব্যাবসা ও মাদক সেবনকারীর সংখ্যা বৃদ্ধিই পাচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কুখ্যাত এই মাদক ব্যবসায়ীরা,মাদক ব্যবসা বন্ধের প্রতিবাদ করলে তারা উল্টো এলাকার মানুষকে হুমকি দিয়ে বলে, পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমার হাতে। আমি পুলিশ, ডিবি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ম্যানেজ করেই ফেনসিডিল, গাঁজা, ইয়াবা ও হেরোইন বিক্রয় করি। বেশি কথা বললে মাদক বাড়িতে রেখে জেলখানায় ঢুকিয়ে দিব। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। তাদের হুমকির মুখে ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়না বলেও জানান তারা।
তারা আরও জানান, চাউলহাটা গ্রামের মোঃ জাকির হোসেন পিতা- রহুল আমিন বিভিন্ন সময় আওয়ামী যুবলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও জোড়পূর্বক অন্যার জমি দখল করে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মাদক বিক্রি, চাঁদাবাজি ও নারী নির্যাতনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সাবেক ত্রান মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী(মায়ার) নাম ভাংগিয়ে জাকির বলেন, মায়া ভাই আবার এমপি হলে অনেকে দেখে নিবে।
নারায়ণপুর বাজারের বণিক ও জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি, শফিকুল ইসলাম(সপন) মজুমদারের ছোট ভাই আওয়ামীলীগ নেতা মোস্তফা মজুমদারের বিরুদ্ধে বাজারের বিভিন্ন জায়গা জোরপূর্বক দখল ও ব্যবসায়ীদের কাজ থেকে বিভিন্ন সময় চাঁদা নিয়ে থাকে।
নারায়ণপুর বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান,নারায়ণপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগে নেতা জাহিদ খান (বাবু), মোঃ কামরুল মুন্সি ও নায়েরগাঁও দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক মেম্বার লোক পরিচয় দিয়ে শাহাদাত হোসেন, জাকির হোসেন, সাইফুল ইসলাম রফিকুল ইসলাম, জাকির হোসেন, ঝিডু প্রধানসহ অনেকে মাদক বিক্রি, ও সরকারি খাস জমি দখল ও চাঁদাবাজি করে থাকে।
এ বিষয়ে মতলব দক্ষিণ থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া জানান, নারায়ণপুর বাজারের আশেপাশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসা করছে বলে শুনেছি। মাদক ব্যবসায়ী ধরা ছোয়ার বাইরে এমন কোন ব্যবসায়ী থানা এলাকায় থাকবে না। এ এলাকায় কোন মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড় দেয়া হবে না। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। আশা করি দ্রুত তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।