নিউজ ডেক্সঃ
আমেরিকান নাগরিক তাকসিম খান ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসাবে গত এগারো বছর ধরে একনাগাড়ে কর্মরত আছেন। এই সময়ে তিনি বিভিন্নভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ভুল বুঝিয়ে নিজের চাকরির মেয়াদ বার বার বৃদ্ধি করে নিয়েছেন। নেপথ্যে বড়সড় আর্থিক বিষয় আছে বলেই যুগ যুগ একই পদে যেকোনো মূল্যে থাকতে চাচ্ছেন তিনি। বিএনপি আমলের তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এখন বাইশ হাজার মেগাওয়াট। বিদ্যুতের সাহায্যে মাটির নীচের পানি উপরে তোলে। ঢাকা শহরে এখন সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ থাকায় সার্বক্ষণিক পানি থাকে যার শতভাগ কৃতিত্ব বিদ্যুৎ মন্ত্রী হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর। অথচ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই কৃতিত্বও ছিনতাই করেছেন তাকসিম খান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি রাজনৈতিক অভিনয়ও করেছেন সুনিপুণভাবে। ওয়াসায় হাজার হাজার কোটি টাকার কাজে বড় বড় ঠিকাদার নির্বাচনে বিপুল অর্থের বিনিময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। মনেপ্রানে আওয়ামী বিরোধী তাকসিম খান ঢাকা ওয়াসায় সব ধরনের নিয়োগ/চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে অগ্রাধিকার দিয়েছেন ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের লোকদের। ওয়াসায় কর্মরত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক অনুসারীদের বিনা অপরাধে হয়রানি করেছেন তাকসিম খান। একই অপরাধ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক অনুসারী রুহুল আমিনকে করা হয়েছে চাকরিচ্যুত আর জামায়াত সমর্থক সাইদুল ইসলাম থাকে বহাল তবিয়তে। এভাবেই তিনি নিরপেক্ষতার পথ পরিত্যাগ করে নিজ রাজনৈতিক মতাদর্শের অনুসারীদের নিরন্তর সমর্থন যুগিয়েছেন।
ওয়াসার হাজার হাজার কোটি টাকার সব মেগাপ্রকল্প থেকে শত শত কোটি টাকা একদিকে বেইজিং থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার বারব্যাঙ্ক শহরে পাচার করেছেন, অন্যদিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সৎ থাকার নিখুঁত অভিনয় করেছেন। দুর্নীতির প্রয়োজনে তিনি ভিন্ন রাজনৈতিক মতাবলম্বীদের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করেছেন। মেগাপ্রকল্পে মেগাদুর্নীতি করতে তিনি গড়ে তুলেছেন একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। ওয়াসার সব মেগাপ্রকল্প এই সিন্ডিকেটের কব্জায়। এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে তাকসিমের টাকার সম্পর্ক। তাই এই সিন্ডিকেটকে রেখেছেন আইনের উর্ধ্বে। ভয়াবহ এসব মেগাদুর্নীতির কারণে ওয়াসার সব মেগাপ্রকল্প ব্যার্থ হয়েছে। পিপিআই এর লোপাট হওয়া ৪৪৫ কোটি টাকার মধ্যে ৩০০ কোটি টাকা ঢুকেছে তাকসিমের পকেটে। নিজে জড়িত বিধায় এসব মহাদুর্নীতির কাহিনী উন্মুক্ত হওয়ার ভয়ে চেয়ার ছাড়তে ভয় পাচ্ছেন তিনি।
প্রতারক সাহেদের তুলনায় তাকসিম খান অতিশয় ধুরন্ধর এবং বাকপটু এক আন্তর্জাতিক প্রতারক। সাহেদ তাকসিম খানের তুলনায় শিশুতুল্য। সাহেদ দেশত্যাগে ব্যর্থ হলেও এমডির চেয়ার হাতছাড়া হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সাহেদের তুলনায় হাজার গুণ বেশি টাকা বিদেশে পাচার করা সত্ত্বেও তাকসিম আমেরিকার উদ্দেশ্যে সফলভাবে দেশত্যাগ করে প্রমাণ করবেন কেন তিনি সাহেদের মহাগুরু!